News update
  • Sewage, trash, disease overwhelm displaced communities in Gaza     |     
  • World leaders rally for ‘full-speed’ climate action ahead of COP30     |     
  • Chel Snakehead: A Fish That Time Forgot, Rediscovered     |     
  • Investment Summit Touts Bangladesh’s FDI Promise     |     
  • World Bank Cuts South Asia Growth Forecast     |     

৩২ নম্বর ভাংচুর নিয়ে কী বলছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম 

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2025-02-06, 12:52pm

ret435345-d7505e4b104e708473a994db22d3515d1738824765.jpg




আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্ব পেয়েছে ধানমন্ডিতে অবস্থিত ৩২ নম্বর বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা। বিবিসি, রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান, টিআরটি ওয়ার্ল্ড, আরব নিউজ, এবিসি নিউজ, আনাদোলু এজেন্সি, সিএনএন, এপিসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে উঠে এসেছে ৩২ নম্বর ভাংচুরের খবর।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে ভারতে অবস্থান নেওয়া স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় দেশের ছাত্র-জনতাসহ তরুণ প্রজন্ম। ফলশ্রুতিতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙার উদ্যোগ নেন তারা। কারণ এই ভবনকে তারা ফ্যাসিবাদের আইকন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় কর্মসূচি থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে সেখানে জড়ো হতে থাকে ছাত্র-জনতা। সেখানে জড়ো হয়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে রাত ৮টার কিছু আগে ৩২ নম্বরের ওই বাড়িতে ঢুকে পড়ে ছাত্র-জনতা।

এরপর ভাঙতে শুরু করে বাড়ি। একটা সময় আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাড়ি। এরপর বুলডোজার মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া শুরু হয়। শুধু এই বাড়িটিই নয়। শেখ মুজিব ও তার পরিবারের সদস্যদের বাড়ি ও ম্যুরাল ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতেই। যা বেশ গুরুত্ব সহকারে প্রচার করেছে অন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা গণমাধ্যম সিএনএন তাদের শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশের বিক্ষোভকারীরা নির্বাসিত সাবেক নেত্রী শেখ হাসিনার বাড়ি ধ্বংস করেছে।’ এরপর তাদের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, প্রতিবেশী ভারতে নির্বাসিত থেকে দলের সমর্থকদের উদ্দেশে হাসিনার একটি বক্তৃতা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই হামলার সূত্রপাত। ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহে ১৫ বছরের শাসন শেষে পালিয়ে যান তিনি। তার বিরুদ্ধে ভিন্নমত দমন করার অভিযোগ রয়েছে।

ব্রিটিশ খ্যাতনামা গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান তার শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশি বিক্ষোভকারীরা স্বাধীনতার প্রতীক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পারিবারিক বাড়ি ধ্বংস করেছে’। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এই বাড়িটি থেকেই শেখ হাসিনার বাবা পাকিস্তান ভাঙনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে কর্তৃত্ববাদের সাথে যোগসূত্র থাকার কারণে তার বাড়িতে আক্রমণ করা হয়।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে, ‘বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে’। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, শুধু শেখ হাসিনাই নয়, তার পরিবার ও রাজনৈতিক দলের অনেক নেতাদের বাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক খ্যাতনামা গণমাধ্যম রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবার বাড়ি উচ্ছেদ করেছে বিক্ষোভকারীরা’। সংবাদ মাধ্যমটি তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সমর্থকদের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেন। যে কারণে এই হামলার সূত্রপাত।

তুরস্কের অন্যতম গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড তাদের শিরোনাম করেছে, ‘ভারতে থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ বাংলাদেশে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে’।  

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এপি তাদের শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশি বিক্ষোভকারীরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়িতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে’। যেখানে লেখা হয়েছে, ‘প্রতিবেশী ভারতে নির্বাসিত থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে হাসিনার একটি বক্তৃতা দিয়ে হামলার সূত্রপাত হয়। ১৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন একটি তীব্র বিদ্রোহের সময় গত বছর পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

তুরস্কের গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি তাদের প্রতিবেদনের শিরোনামে লিখেছে, ‘ভারত থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লাইভ ভাষণ বাংলাদেশে প্রতিবাদের সূত্রপাত করেছে’। তারা তাদের প্রতিবেদনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কোড করে লিখেছে, বিদ্যমান দলগুলো ‘দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পড়তে ব্যর্থ হয়েছে’।

যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজ তাদের শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশি বিক্ষোভকারীরা নির্বাসিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জড়িত একটি বাড়িতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের হাজার হাজার বিক্ষোভকারী নির্বাসিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তার পরিবারের বাড়ি ধ্বংস করে। যা দেশের স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে এসেছিল। তবে বিক্ষোভকারীদের দাবি, কর্তৃত্ববাদের সূত্রপাত হয়েছিল এই বাড়িটিতেই।

সৌদি আরবের অন্যতম গণমাধ্যম আরব নিউজ তাদের শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশি বিক্ষোভকারীরা নির্বাসিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যুক্ত একটি বাড়িতে তাণ্ডব ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে’।

এ ছাড়া ভারত ও পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলোসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিষয়টি ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। আরটিভি